মণিরামপুর প্রতিনিধি: যশোরের মণিরামপুর উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নে অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচির কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৮ জন থাকলেও কর্মসূচির কাজ করছে ২০ থেকে ২৪ জন।

২৫ নভেম্বর শনিবার সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, ২৪ জন উপকারভোগী কর্মসূচির কাজ করছে। গত ১৮ নভেম্বর শনিবার কর্মসূচির কাজ ২০ জনকে নিয়ে শুরু হয় বলে জানান, লিভারসর্দার আরশাফ আলী। আরশাফ আলী আরও বলেন, প্রথম দুই দিন ২০ জন করে কাজ করেছে, পরের দিন ২২ জন তারপরের থেকে ২৪ জন করে কাজ করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কর্মসূচির ২৫ জন করে কাজ করেছে আমি একজনকে ছুটি দিয়েছি এখন ২৪ জন কাজ করছে। আমার কাছে কোন তালিকা নেই। চেয়ারম্যানের কাছে তালিকা আছে।

জানা যায়, মমতাজ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, ফকির গাজীর ছেলে বিল্লাল হোসেন, ফজলুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির,নূর আলী গাইনীর ছেলে শওকাত আকবার এরা কাজ না করেন অতীতেও একবার অতিদরিদ্র কর্ম সংস্থান কর্মসূচির টাকা উত্তোলন করেছেন। এবারও তালিকায় তাদের নাম আছে কিন্তু তারা কাজ করেন না। উপকারভোগীর কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা কাজ করি বেতন নি অনেকেই কাজ না করেই বেতন তোলেন।এটা আমাদের কাছে খুব খারাপ লাগে।

এ বিষয়ে দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, এখনতো আমাদের আওতায় কিছু নেই। কাজের সভাপতি আছেন তারাই ভালো জানেন। আমি কিছু জানিনা।
কাজের সভাপতি ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি বিরোধী দলের মেম্বার হওয়ায়, আমি নামেই প্রকল্পের সভাপতি আছি। আমি কিছুই জানি না কখন কি হয়। প্রকল্পের সরদার আরশাফ গাজী ভালো জানেন।
প্রকল্পের লিভারসর্দার সরদার আরশাফ গাজী বলেন, আমার আওতায় ২৪ জন কাজ করছে।কাদের নাম আছে কাদের নাম নেই আমি সঠিক জানি না। আমার কাছে কোন লিস্ট নেই।
এদিকে সাব লিভার সর্দার সন্জয় দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এরা ৪ জন কাজ করেন না এবং মোবাইলে তারা বেতন পেয়ে যান।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস.এম আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই , আমার স্যারের সাথে কথা বলতে পারেন।

মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ২৭ নভেম্বরে তার অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।